পাগলা মসজিদের দানবক্সে সাড়ে ১১ কোটি টাকা

কিশোরগঞ্জ শহরের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদে ১০টি লোহার সিন্দুক ও ৩টি ট্রাঙ্কের দানবাক্স খোলা হয়েছে। সকাল থেকে গণনা শুরু হয়েছে দানবক্সে পাওয়া টাকা ও অলংকার। সন্ধ্যায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সাড়ে ১১ কোটি টাকা গণনা করার খবর পাওয়া গেছে।
৪ মাস ১৮দিন পর শনিবার (৩০ আগস্ট) সকাল ৭টায় দানবাক্সগুলো খুলে ৩২ বস্তা টাকা পাওয়া যায়। দুপুর আড়াইটা বিরতির সময় পর্যন্ত ১০ কোটি ৫০ লাখ টাকা গণনা করা হয়। সব টাকা গণনায় আরও কয়েক ঘণ্টা সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন ব্যাংক কর্মকর্তাগণ। এছাড়া এবার রেকর্ড পরিমাণ টাকা মিলবে বলেও আশা প্রকাশ করছেন ব্যবস্থাপনা কমিটি।
মসজিদ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য, মসজিদ কমপ্লেক্সে অবস্থিত মাদ্রাসা ও এতিমখানার শিক্ষক-শিক্ষার্থী, পার্শ্ববর্তী জামিয়া এমদাদিয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থী, রূপালী ব্যাংক কর্মকর্তা-কর্মাচারীসহ চার শতাধিক মানুষের একটি দল টাকা গণনার কাজে অংশ নিয়েছেন। তিন মাস পর পর দানবাক্সগুলো খোলার কথা থাকলেও মাদ্রাসা-কলেজের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষাজনিত কারণে এবার ৪ মাস ১৮ দিন পর দানবাক্স গুলো খোলা হয়। এ কারণে এবার নতুন করে বসানো হয়েছে আরও ৩ টি দানবাক্স।
এর আগেও অনিবার্য কারণে ৪ মাস ১২দিন পর চলতি বছরের ১২ এপ্রিল পাগলা মসজিদের দানবাক্সগুলো খুলে ৯ কোটি ১৭ লাখ ৮০ হাজার ৬৮৭ টাকা পাওয়া যায়। এছাড়াও পাওয়া গিয়েছিল বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালংকার। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও দানবাক্স খোলা কমিটির আহ্বায়ক এরশাদুল আহমেদ এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ফৌজিয়া খান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মিজাবে রহমত ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী, জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির অধ্যাপক মো. রমজান আলীর উপস্থিতিতে দানবাক্সগুলো খোলা হয়। এছাড়াও বিপুল সংখ্যক সেনাবাহিনী, পুলিশ ও আনসার সদস্য উপস্থিত ছিলেন।