ঈদযাত্রায় স্বস্তি ফেরাতে তৎপর পুলিশ-সেনাবাহিনী

ঈদযাত্রায় স্বস্তি ফেরাতে তৎপর পুলিশ-সেনাবাহিনী

দিন ঘুরলেই ঈদুল আজহা। নাড়ির টানে বাড়ি ফিরছেন মানুষ। আর সেসব ঘরমুখো মানুষের ঈদযাত্রায় স্বস্তি ফেরাতে তৎপর পুলিশ-প্রশাসন। মাঠে রয়েছে সেনাবাহিনী-র্যাব ও স্বেচ্ছাসেবকও। প্রশাসনের কঠোর অবস্থানে এখন পর্যন্ত তেমন যানজটের কবলে পড়েননি যাত্রীরা।

বৃহস্পতিবার রাজধানীসহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়কে বড় ধরনের যানজট দেখা দেয়নি। এদিন ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-আরিচা, ঢাকা-রংপুর মহাসড়ক, কুমিল্লার পদুয়ার বাজার, বিশ্বরোড, আলেখারচর, ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় সেনাবাহিনী, পুলিশের কড়া নজরদারিতে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।

কুমিল্লার দাউদকান্দি এলাকায় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন র‍্যাব-১১ এর সিইও। এ সময় দাউদকান্দি এলাকায় চেকপোস্ট বসিয়ে সন্দেহভাজন গাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়। 

পুলিশ সূত্র জানায়, এবার ঈদে যাত্রীদের বিড়ম্বনা ও ডাকাতের উৎপাত কমাতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ৩৩টি স্থানকে ডাকাতি প্রবণ ও ২৯টি স্থানকে দুর্ঘটনা প্রবণ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে অধিক গুরুত্বপূর্ণ ১২টি স্থান হলো, দাউদকান্দির বলদাখাল বাস স্ট্যান্ড, গৌরীপুর বাস স্ট্যান্ড, চান্দিনা বাস স্ট্যান্ড, আলেখারচর মোড়, ক্যান্টনমেন্ট মোড়, নিমসার বাজার ও ইউটার্ন।

কর্মরত পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, এখন পর্যন্ত মহাসড়কে বড় কোনো যানজটের সৃষ্টি হয়নি। বাস মালিকপক্ষ যেসব ‘লক্করঝক্কর’ বাস নামিয়েছে, এসব নষ্ট না হলে মহাসড়কে যানজট সৃষ্টির কোনো সম্ভাবনা নেই। মহাসড়কে গরু ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রাতের বেলা টহল দ্বিগুণ করা হয়েছে।'