ফ্রান্সে দ্বীনি শিক্ষার আলো ছড়াচ্ছে এমসি ইনস্টিটিউট

ফ্রান্সে বসবাসরত বাংলাদেশিদের আশার আলো হয়ে উঠছে এমসি ইনস্টিটিউট। প্রতিষ্ঠানটি দ্বীনি শিক্ষার আলো ছড়াতে চায় প্রবাসী কমিউনিটিতে। এমনকি আলোকিত প্রজন্ম গড়ার পাশাপাশি আদর্শিক সমাজ বা পরিবেশ গঠনেও ভূমিকা রাখতে চান সংশ্লিষ্টরা।
এরই ধারাবাহিকতায় ৩০ আগস্ট ফ্রান্সে স্থানীয় সময় বিকেল ৫টায় মতবিনিময় সভা করেছে আদর্শ মানুষ গড়ার প্রতিষ্ঠান এমসি ইনস্টিটিউট-ফ্রান্স। প্রতিষ্ঠানের দ্বিতীয় ক্যাম্পাস ওভারবিলিয়েতে এ সভার আয়োজন করা হয়।
প্রতিষ্ঠানের সভাপতি প্রিন্সিপাল মাওলানা বদরুল বিন হারুনের সভাপতিত্বে ও সাংবাদিক মোহাম্মদ মাহবুব হোসাইনের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন প্রফেসর হালিমা আজিজি, কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব ও এমসি ইনস্টিটিউটের প্রধান উপদেষ্টা শরীফ আল মোমীন, কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান ফ্রসে আভেক রাব্বানী’র প্রতিষ্ঠাতা কৌশিক রাব্বানী, ইনস্টিটিউট ফ্রান্স-এর সাধারণ সম্পাদক আরিফুজ্জামান ইমন, কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব ও এমসি ইনস্টিটিউ- ফ্রান্স’র সিনিয়র সহ-সভাপতি লুৎফর রহমান, ইনস্টিটিউট ফ্রান্স-এর সদস্য তোফায়েল আহমেদ জয়নুল, ইনস্টিটিউট ফ্রান্স-এর সদস্য হাবিবুর রহমান, মাসুম রিকাবদার, মোহাম্মদ আরাফাত রহমান।
অভিভাবকদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আব্দুর রহমান, মুতালিব চৌধুরী, মাহবুবুর রহমান, নাসিমা আক্তারসহ আরও অনেকে। সভার সার্বিক ব্যাবস্থাপনায় ছিলেন এমসি ইনস্টিটিউটের উচ্চতর আরবি ভাষা বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
সভায় বক্তারা বলেন, বাংলাদেশি কমিউনিটির জন্য আদর্শিক পরিবেশ গড়তে ভূমিকা রাখবে এমসি ইনস্টিটিউট। কেননা ফ্রান্সে বাংলাদেশিদের পূর্ণাঙ্গ দ্বীনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এখনও গড়ে ওঠেনি। তাই প্রবাসীদের ছেলে-মেয়েদের দ্বীনি শিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তোলার জন্য যথাযথ ভূমিকা রাখবে এমসি ইনস্টিটিউটের দ্বিতীয় ক্যাম্পাস।
এছাড়া ব্যক্তি, সমাজ, দেশকে উন্নয়ন করতে হলে নৈতিক শিক্ষার পরিবেশ তৈরি করা সময়ের দাবি। আদর্শিক শিক্ষাই পারে সমাজ ও ব্যক্তিকে অন্ধকার থেকে আলোর পথে আনতে। এই দ্বীনিপ্রতিষ্ঠানকে চলমান রাখতে সবার সহযোগিতার হাত প্রসারিত করতেও আহ্বান জানানো হয়।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ১০ মার্চ ফ্রান্সে বসবাসরত একদল নিবেদিত ও সাহসী মানুষের প্রচেষ্টায় যাত্রা শুরু করে এমসি ইনস্টিটিউট। ফ্রান্সে প্রবাসী বাংলাদেশিদের আগামী দিনের ভবিষ্যৎ শিশু-কিশোর ও বয়স্ক নারী-পুরুষের মাঝে ইসলামের নৈতিক ও সাংস্কৃতিক শিক্ষা জাগ্রত রাখার মহৎ উদ্দেশ্য সামনে রেখেই প্রতিষ্ঠানটির পথচলা।